নাটোরের চলন বিলাঞ্চলে “সাদা সোনা” খ্যাত রসুন তোলা শেষ। চলতি মৌসুমে রসুনের আকার ও গুনগত মান ভাল হওয়ায় ফলন এবং দাম দুটিই সন্তোষজনক। চলতি মৌসুমে নাটোর জেলায় প্রায় ২৫০০০ হেক্টর জমিতে এই পদ্ধতিতে রসুন চাষ হয়। এবার তেমন কোন প্রকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় এবং লাগাতার কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকের আশাতীত ফলন পেয়েছে। এখন কৃষক কৃষাণীরা শুকানো এবং বাজারজাতকরণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।
কৃষিবিদ মো. আবদুল করিম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, গুদাশপুর, নাটোর জানান, বন্যার পানি নেমে গেলে জমির আগাছা পরিষ্কার করে রসুনের কোয়া রোপণ করা হয়। পরবর্তীতে ধানের খড় দ্বারা জাবড়া বা মালচিং করা হয়। প্রয়োজনবোধে সেচ দেওয়া হয়। এভাবে বিনা চাষে রসুন উৎপাদন করা যায় এবং উৎপাদন খরচ তুলনামুলকভাবে অনেক কম। তিনি আরোও জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ২৫-৩০ কেজি টি এস পি, ২৫-৩০ কেজি এম ও পি এবং ১৫ কেজি জিপসাম সার ছিটানোর পর দুই একদিনের মধ্যে নরম জমিতে লাইন করে রসুন বীজ বপন করা হয়। প্রযুক্তিটি এই উপজেলায় খুব জনপ্রিয়। এ বছর চাষীরা বিঘা প্রতি গড়ে ৪০-৪২ মণ ফলন পেয়েছে।
এবার প্রতিমন আধা-ভেজা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৮০০-৩০০০ টাকায় এবং শুকনা রসুনের কেজি হচ্ছে প্রায় ৩৫০০-৩৬০০ টাকায়। এছাড়া সাথী ফসল হিসেবে রসুনের সাথে বাঙ্গী এবং তরমুজ চাষ করা যায় বলে পদ্ধতিটি খুব লাভজনক।
মসলা উৎপাদনের এই চিত্র বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত শুভকর। এই উপজেলা হতে ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমানে বিনা চাষে উৎপাদিত রসুন বাজারজাত করা হয়।